মিক্সড ড্রাই নাটস ও সিডস (১০ মাস + বাচ্চাদের ও সব বয়সীদের জন্য) গর্ভবতী নারীদের জন্য এই খাবারটি দারুন উপকারী। এতে উপস্থিত ফলিক অ্যাসিড গর্ভবতী মায়েদের শরীর সুস্থ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।এছাড়াও নিয়মিত বাদাম ও বীজ খেলে হার্ট ভালো থাকে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে অ্যান্টি–অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ যে খাবারগুলো বেশি করে খেতে হবে, সেগুলোর মধ্যে কাঠবাদাম, চিনাবাদাম, পেস্তাবাদাম, বাদাম তেল, বিভিন্ন বীজের বিচি অন্যতম।
রেসিপিঃ সেরেলাক ,সুজি ,খিচুড়ি ইত্যাদি খাবারে গুড়া করে মিক্স করবেন , বিভিন্ন মিস্টি খাবারের সাথে দিবেন
মিক্সড নাট ও সিডসকুচি কুচি করে কেটে ডেজার্ট আইটেমের উপর ছিটিয়ে দিবেন, গুড়া করে গরম দুধের সাথে মিশিয়ে খাবেন,এছাড়া ও ফিঙ্গার ফুড হিসেব এই টেস্টি মিক্স খাওয়া যায় ,ডায়েটের জন্য ও খেতে পারেন।
বিস্তারিত তথ্যঃ
কাজু বাদাম ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার। আমাদের শরীরে দৈনিক ৩০০-৭৫০ গ্রাম ম্যাগনেসিয়াম প্রয়োজন। আর এটা পূরণ করে এ বাদাম। কাজু মাংসপেশী ও স্নায়ুর সঠিক কাজ ও হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে।
পেস্তাবাদাম ইউএসডিএ নিউট্রিশন ডাটাবেস অনুসারে খোসাবিহীন এক আউন্স পেস্তা বাদামে ১৫৯ ক্যালরি, ১২.৮ গ্রাম ফ্যাট, ৫.৭২ গ্রাম প্রোটিন, ৭.৭ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ৩ গ্রাম ফাইবার ও ২ গ্রাম সুগার রয়েছে। অন্যদিকে ইউএসডিএ নিউট্রিশন ডাটাবেস অনুযায়ী খোসাসহ এক আউন্স পেস্তা বাদামে ৮৫ ক্যালরি, ৭ গ্রাম ফ্যাট, ৩ গ্রাম প্রোটিন, ৪ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ১.৫ গ্রাম ফাইবার ও ১ গ্রাম সুগার থাকে। অ্যাকাডেমি অব নিউট্রিশন অ্যান্ড ডায়েটেটিক্সের পুষ্টিবিদ ও মুখপাত্র সোনিয়া আনজিলোন বলেন, ‘পেস্তা বাদাম হচ্ছে ফাইবার, প্রোটিন, ম্যাগনেসিয়াম, কপার, ভিটামিন ই, ফোলেট ও প্লান্ট স্টেরলসের (কোলেস্টেরল কমানোর প্রাকৃতিক উপাদান) প্রাচুর্যপূর্ণ উৎস। এ বাদাম স্বাস্থ্যকর মনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটেরও ভালো উৎস।’এই ধরনের বাদামে থাকে ফসফরাস, পটাসিয়াম, সোডিয়াম, কপার,ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন।লিভার ও কিডনি ভালো রাখে।
কাঠ বাদাম আলমন্ডের ফাইবার শরীরে কার্বোহাইড্রেট শোষণের গতি কমায়। ফলে ডায়াবেটিসের জন্য উপকারি।
কিসমিসে প্রচুর পরিমাণে আয়রন আছে,যা শরীরে নতুন রক্ত তৈরি করে। এছাড়া আপনার লিভার বা যকৃত পরিষ্কার করতেও এর জুড়ি নেই। এ ছাড়া কিশমিশে পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও ফসফরাসও অনেক
কুমড়ার বীজে ভারতের ডি কে পাবলিশিং হাউসের একটি বই ‘হিলিং ফুডস’-এ বলা হয়েছে, কুমড়ার বিচি (বীজ) ভিটামিন বি, ম্যাগনেশিয়াম, লোহা ও প্রোটিনের ভালো একটি উৎস। বিচিগুলোতে অপরিহার্য ফ্যাটি অ্যাসিড উচ্চমাত্রায় রয়েছে। এই ফ্যাটি অ্যাসিড রক্তে অস্বাস্থ্যকর কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সহায়তা করে।ওজন কমানো, চুলের বৃদ্ধিসহ কুমড়োর বিচির উপকারিতাগুলো ‘হৃদ্যন্ত্র’ ভালো রাখে,কুমড়োর বিচিতে আছে সেরোটোনিন। স্নায়ু নিয়ন্ত্রক এই রাসায়নিক বস্তুকে প্রকৃতির ঘুমের বড়ি বলা হয়। ট্রাইপটোফ্যান নামের অ্যামিনো অ্যাসিড শরীরে গিয়ে সেরোটোনিনে রূপান্তরিত হয়, যা ঘুম নিশ্চিত করে। ঘুমানোর আগে মুঠভর্তি কুমড়োর বিচি এনে দেবে পুরো রাত্রির শান্তি।জ্বালাপোড়ার অনুভূতি কমায় পেশির জ্বালাপোড়ার অনুভূতি কমানোর ক্ষমতা আছে কুমড়োর বিচির। এ ছাড়া বাতের ব্যথাও কমায় এটি। অস্থিসন্ধির ব্যথা কমাতে এর তেলও ভালো কাজে দেয়।ভালো রাখে প্রোস্টেট ।কুমড়োর বিচিতে আছে জিংক। যা পুরুষের উর্বরতা বাড়ায় ও প্রোস্টেটের সমস্যা প্রতিরোধ করে। এতে আছে ডিএইচইএ (ডাই-হাইড্রো এপি-অ্যান্ড্রোস্টেনেডিয়ন), যা প্রোস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়।দীর্ঘ চুলের নিশ্চয়তা এতে আছে কিউকুরবিটিন, এমন এক অ্যামিনো অ্যাসিড যা চুলের বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে। এ ছাড়া ভিটামিন সিও আছে কুমড়োর বিচিতে, যা চুলের বৃদ্ধি বাড়ায়। ওমেগা-৩ পুষ্টিগুণ থাকায় আপনার দৈহিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করে।
এপ্রিকটে এপ্রিকট এমন একটি ফল যা শুকনো ফলের বিভাগের অন্তর্ভুক্ত (তবে কাঁচা ও শুকনো দুই রূপেই খাওয়া যায়)। এই ফলটি ক্যালসিয়াম, আয়রন, পটাসিয়াম, ফসফরাস এবং ভিটামিন এ, সি ও ই–এর ভাল উত্স এবং গর্ভাবস্থায় এপ্রিকট খাওয়া আপনার ও আপনার শিশুর পক্ষে ভাল।প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-বি২, ভিটামিন-বি৩, ভিটামিন-এ এবং ভিটামিন-সি রয়েছে।গর্ভাবস্থায় এপ্রিকট খাওয়া সম্পূর্ণ নিরাপদ। এপ্রিকট রোসেসি পরিবারের অন্তর্ভুক্ত (চেরি, পীচ, প্লাম, কাঠবাদাম ইত্যাদিও এই পরিবারের অন্তর্ভুক্ত), এবং এই ফলটি আপনার গর্ভাবস্থার ডায়েটে প্রচুর স্বাস্থ্যগত উপকারিতার জন্য যুক্ত করা যেতে পারে। আপনি নিরাপদে দিনে ১ থেকে ২টি দানা খেতে পারেন।
ত্বীন ফল তীনে আছে ভিটামিন-এ, ভিটামিন-সি, ভিটামিন-কে, ভিটামিন-বি, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, জিংক, কপার, আইরন ইত্যাদি।ডায়েটেড এবং ফিট থাকতে চাইলে তীন সবচেয়ে কার্যকর ফল। আর এন্টিঅক্সিডেন্ট-এর তীনের চেয়ে ভালো ফল আর নেই বললেই চলে।প্রোস্টেট এবং জরায়ু ক্যান্সারের প্রতিষেধক হচ্ছে তীন। ব্লাড প্রেসার এবং স্নায়ুরোগ কমাতে দারুণ কার্যকর। মায়ের বুকে দুধ উৎপাদনে তীনের জুড়ি মেলা ভার। পাইলসে ভোগা ব্যক্তিরা অসাধারণ ঔষধ হিসাবে তীন খেতে পারেন। গরুর দুধে এলার্জি থাকলে তীন খান। ক্যালসিয়ামের ঘাটতি নিয়ে আর চিন্তা করতে হবে না।
তরমুজ বীজ তরমুজের বীজে রয়েছে শর্করা, অ্যামিনো অ্যাসিড, ফ্যাটি অ্যাসিড খাদ্যআশঁসহ গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিনস্ ও মিনারেলস্। যেমন: আয়রন, ক্যালসিয়াম, জিংক, ফোলেট, ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাংগানিজ, পটাশিয়াম, সোডিয়াম, ফসফরাস, ভিটামিন-বি৬ ইত্যাদি। তরমুজের বীজের স্বাস্থ্য উপকারিতাগুলো পুরুষের প্রজনন ক্ষমতা উন্নত করে,রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়,হার্ট সুস্থ রাখে,ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করে,জন্ডিস সারায় তরমুজের বীজ মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য উন্নত করে, পাচক স্বাস্থ্য বৃদ্ধি করে, মাথার চুল শক্তিশালী করে, ত্বক পরিষ্কার রাখে এবং উন্নত করে এবং চেহারায় বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না। এছাড়াও কিডনি ও প্রস্রাবের সমস্যা সমাধানে অনেক উপকারী উপাদান এটি।
আখরোট বাদাম এটি ফাইবার , আন্টিঅক্সিডেন্ট ,ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ একটি পুষ্টিকর খাবার । অনেক ধরনের বাদাম থাকলেও সবচেয়ে উপকারী বাদাম হলো ‘আখরোট’। বয়স্ক মানুষের ক্ষেত্রে ভুলে যাওয়ার প্রবণতা তৈরি হলে বা অ্যালঝাইমার্স ডিজিজের সঙ্গে লড়তে চাইলে ওষুধপত্রের সঙ্গে পাতে রাখুন আখরোট। এই ফল স্মৃতিশক্তি বাড়াতে বিশেষ কার্যকরী। রাইবোফ্লোভিন ও এল-কারনাইটিন থাকার কারণে মস্তিষ্কে স্নায়ুর কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে আখরোট। ‘বায়োলজি অব রিপ্রোডাকশন’-এর জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাপত্রের দাবি, প্রতি দিন যদি অন্তত ৭৫ গ্রাম করে আখরোট খাওয়া যায় তবে পুরুষদের বন্ধ্যাত্বের সমস্যা কমে। কারণ আখরোট বাড়িয়ে দেবে স্পার্ম কাউন্ট বা শুক্রাণুর সংখ্যা।
চীনা বাদাম আকারে ছোট হলেও সকল প্রকার খাদ্য গুণাগুণ এতে বর্তমান। যেমন- ফ্যাটি অ্যাসিড, ফাইবার, কার্বোহাইড্রেট, লিউটিন, জিজ্যানথিনের মতো অ্যান্টি অক্সিডেন্ট।বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত কেউ যদি এক বাটি করে বাদাম খাওয়া শুরু করেন, তাহলে শরীরে এমন কিছু উপাদানের প্রবেশ ঘটে, যা এই যুদ্ধ শরীরকে চাঙ্গা তো রাখেই, সেই সঙ্গে একাধিক রোগকে দূরে রাখতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।চীনা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা:হাড়ের স্বাস্থ্য়ের উন্নতি ঘটায়,ব্রেন পাওয়ার বৃদ্ধি পায়,ক্যান্সারের মতো রোগ দূরে থাকে,পুষ্টির ঘাটতি দূর করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়,খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়,ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখে,ওজন নিয়ন্ত্রণ করে, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে, কোষের কার্য ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ও হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়।
খুরমা চূর্ণ খুরমা অতি মিষ্টিজাত ফল। এতে রয়েছে প্রচুর ক্যালোরি এবং রয়েছে প্রচুর খাদ্যগুণ, যেমন ভিটামিন-বি,-সি, আয়রন এবং প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও ক্যালসিয়াম, অ্যামিনো অ্যাসিড, ভিটামিন-কে।খুরমা চূর্ণ শারীরিক শক্তিবৃদ্ধি, মনের প্রফুল্লতা ,কোষ্ঠকাঠিন্য, অরুচি, দৃষ্টিশক্তি ,হজমকারক,কোলেস্টোরল, রোগ প্রতিরোধক, রক্তশূণ্যতা ও বার্ধক্যরোধক । খুরমা সেবনে যৌবন বা তারুণ্য ধরে রাখে এবং যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধি ও ঘনত্ব বাড়ায়।
উপাদানঃ এপ্রিকট( Dried Apricot),কাজুবাদাম, পেস্তাবাদাম/pistachio,আখরোট, চীনা বাদাম,কাঠবাদাম,খুরমা চূর্ণ সাদা-কালো কিসমিস/ raisins, sunflower seeds, pumpkin seeds,ইত্যাদি…
বিঃদ্রঃ শুকনো ফলের ভালো দিক হলো, এটি দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করে খাওয়া যায় ও সহজে বহনযোগ্য, পচনশীল নয়। শুকনো কাচের বয়াম বা জারে সংরক্ষণ করে ঠান্ডা ও শুষ্ক স্থানে সংরক্ষণ করুন এবং প্রতিদিন কিছু পরিমাণ করে খেতে পারেন।
Reviews
There are no reviews yet.