Description
প্রকৃতির অন্যতম উৎকৃষ্ট দুই উপাদান আমাদের চারপাশ প্রাকৃতিক অসংখ্য উপাদানে ভরপুর। এগুলোর মধ্যে অত্যান্ত উৎকৃষ্ট উপাদান Vantage মেডিসিন্যাল নারকেল তেল এবং Vantage অর্গানিক অ্যাপেল সিডার ভিনেগার। এ দু’টি জিনিস আপনার দেহ সুস্থ করে তুলতে খুবই কার্যকর। এগুলো ব্যাবহারে অনেক রকম উপকারিতার মধ্যে রয়েছে- দেহের অতিরিক্ত চর্বি কমানো, হজমের সমস্যা দূর করা, দেহের ওজন ভারসাম্য ঠিক রাখা, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো এবং হরমোনের ভারসাম্য রক্ষা করা ইত্যাদি। এ দু’টি উপাদানকে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় প্রাকৃতিক বন্ধু বলা যেতে পারে। মেডিসিন্যাল নারকেল তেল ও অর্গানিক অ্যাপেল সিডার ভিনেগার নিয়মিত সেবন করলে শরীরের কার্যক্ষমতা, উদ্যম, সুস্থতা, ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। • উভয়ই রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিক রাখতে একসাথে কাজ করে। নারকেল তেল অতিসহজ পাচ্য চর্বি যার শক্তিতে রূপান্তর হতে কোন ইনসুলিনের সহায়তা দরকার হয় না। অন্য দিকে এসিভি (অ্যাপেল সিডার ভিনেগার) খাদ্যের উচ্চ গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ধীর করে দেয়, ফলে রক্তে শর্করা বা চিনির মাত্রা বৃদ্ধি খুবই ধীরে হয়। এ দু’টি জিনিস একসাথে রক্তের শর্করার এবং ইনসুলিন উৎপাদনে ভারসাম্য রক্ষা করে। • উভয়ই ক্ষুদা নিয়ন্ত্রণে রাখতে, খাবার চাহিদা হ্রাসের পাশাপাশি খাদ্য পরিপাক পক্রিয়া সহজ করে। নারিকেল তেল অন্ত্রের ভিতরের সমস্যা নিরাময় করে এবং খাদ্য বিপাক তরান্বিত করে। হজমের সমস্যা, গ্যাসে পেট ফোলা, বুক জ্বলা, গলা জ্বলা এবং বমি বমি ভাব দূর করে ভিনেগার। • এ দু’টি স্বাস্থ্যকর খাদ্য কোলনের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া এবং পরজীবীদের নষ্ট করে, দেহে পিএইচ ভারসাম্য বজায় রাখে এবং অন্ত্রের স্বাস্থ্যকর পরিবেশ ফিরিয়ে আনে। হেলিকোব্যাক্টর পিলরি বা আলসারের জন্য দায়ী জীবাণু থেকে পাকস্থলীকে সুরক্ষাদেয়। প্রকৃতির অনন্যগুনে সমৃদ্ধ এ দু’টি উপাদান প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করুন। এক মাসেই এর উপকারিতা অনুধাবন করতে পারবেন। মেডিসিন্যাল নারিকেল তেল নিয়ে এখানে বিশদ আলোচনা করবো না। এ সম্পর্কে জানতে ‘মেডিসিন্যাল কোকোনাট অয়েল বা ওষুধী নারকেল তেল কী?’ শিরোনামে লেখাটি পড়ুন। বরং অ্যাপেল সিডার ভিনেগারের উপকারিতাগুলো একটু বিস্তারিত আকারে এখানে উল্লেখ করবো। অ্যাপেল সিডার ভিনেগার কী? আনফিল্টারড বা অপরিশোধিত অ্যাপেল সিডার ভিনেগার পুরোপুরি প্রাকৃতিক পানীয়। অ্যাপেল সিডার ভিনেগার হোল অ্যাপেল এর ফার্মেন্টেড জুস। অ্যাপেল জুস এর সাথে ইস্ট (Yeast) আর ব্যাকটেরিয়া মিশিয়ে ফার্মেন্টেশন পক্রিয়া সম্পন্ন হয়। যা অ্যাপেল জুসকে অ্যালকোহলে পরিনত করে। ফার্মেন্টেশন পক্রিয়ার দ্বিতীয় ধাপে অ্যালকোহল এসিটিক অ্যাসিডে পরিনত হয়ে অ্যাসিটো ব্যাকটেরিয়া জন্ম দেয়। এসিটিক অ্যাসিড থাকার জন্য অ্যাপেল সিডার ভিনেগারের স্বাদ সাধারণত টক হয় এবং রঙ হয় হালকা বাদামি। এতে ভিটামিনস, মিনারেলস, অ্যামিনো অ্যাসিডস, অর্গানিক অ্যাসিডস পলিফেনল কম্পাউন্ডস (প্রাকৃতিক রাসয়নিক উপাদান) রয়েছে। আর্থ্রাইটিস ও ইউরিক অ্যাসিডজনিত সমস্যা লাঘবে খুবই ফলদায়ক। এক টেবিল চামচ পরিমাণ অ্যাপেল সিডার ভিনেগারে ১ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ০.৭ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম, ১.২ মিলিগ্রাম ফসফরাস এবং ১০.৮ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম আছে, কোনো প্রকার চর্বি ও আমিষ নেই। এটি Protein পরিপাকে সাহায্য করে, maintain normal stomach acidity. এতে রয়েছে বিভিন্ন রকম এনজাইম যা দুর্বলতা থেকে মুক্তি দেয়। প্রতিদিন after wake up এক গ্লাস পানিতে ১ টেবিল চামচ অ্যাপেল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে পান করুন। ত্বক ও চুলের যত্নে ত্বক ও চুলের যত্নেও অ্যাপেল সিডার ভিনেগার অতুলনীয়। শ্যাম্পু করার পরে ভিনেগার water( vinegar: water 1:3)দুয়ে চুল ধুলে চুল উজ্জ্বল হয় এবং খুশকি মুক্ত হয়। পাশাপাশি ত্বকের ব্রণ, বলি রেখা কমায়, স্কিন টোন ভালো করে। মুখের দুর্গন্ধও দূর করে। স্কিন টোনার হিসাবে ব্যাবহার করতে পারেন। অ্যাপেল সিডার ভিনেগার ওজন কমাতে সাহায্য করে। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে, হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। এতে অ্যান্টিওক্সিডেন্ট কলোরোজেনিক অ্যাসিড (Chlorogenic acid) থাকে, যা আমাদের জন্য কোলেস্টেরল LDL-কে অক্সিডাইজড হতে বাঁধা দেয়। দাঁতের হলদে ভাব দূর করে অ্যাপেল সিডার ভিনেগার। পানিতে মিশিয়ে কুলি করতে পারেন।ছেলেরা এটিকে আফটার শেভ হিসাবে ব্যাবহার করতে পারেন। মনে রাখবেন দীর্ঘ দিনের অনিয়মের কারনে অসুস্থ দেহকে সুস্থ করে তুলতেও সময়ের প্রয়োজন। Dr. Mujibur Rahman M.D Cardiologist and Alternative Doctor
Reviews
There are no reviews yet.